উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না: সিইসি

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনেছবি: প্রথম আলো

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। তবু কোনো মন্ত্রী ও এমপি (সংসদ সদস্য) ভোটে প্রভাব বিস্তার করেন কি না, তা কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা হবে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিইসি। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হবে আগামীকাল বুধবার। এই ধাপে দেশের ১৪০ উপজেলায় ভোট হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এ বিষয়ে কমিশন বেকায়দায় নেই। বরং এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা স্পষ্ট হয়েছে।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে মন্ত্রীদের নিবৃত্ত করতে পেরেছেন তাঁরা। তবে এখনো এলাকায় অনেকে আছেন। কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার না করেন, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এবারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। কে কোন দল করেন, কে কোন দলের প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন তা দেখে না। নির্বাচন কমিশন দেখে প্রার্থী। কে নির্বাচনে এল, কে এল না, তা দেখা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। এবারের নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলায় গড়ে চারজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, প্রার্থী আছেন কি না।

৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের কেমন পার্থক্য দেখেন—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, একটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আরেকটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এটাই পার্থক্য। তবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিযোগিতা বেশি। উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উত্তেজনা বেশি। সে উত্তেজনা যাতে সহিংসতায় রূপ না নেয়, নির্বাচন কমিশন সে বিষয়ে সতর্ক আছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে এখন ১৪০ উপজেলায় নির্বাচন হবে। ইভিএমে ভোট হবে ২২ উপজেলায়। ৫ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৭ জন সদস্য থাকবেন। স্পর্শকাতর কেন্দ্রে থাকবেন ১৯ জন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সবার সহযোগিতা চান তিনি। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।