নিত্যপণ্যসহ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে অস্থির করছে: সিপিবি

কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র শিল্পের সংকটে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ শনিবার সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সভায় এসব সংকট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

সিপিবির প্রেসিডিয়াম বৈঠক থেকে বলা হয়েছে, সরকার এসব সংকটের সমাধানে যথাযথ ভূমিকা না নিয়ে ক্ষমতা রক্ষায় ব্যস্ত। সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারলে রেলসহ নানা জায়গায় মূল্যবৃদ্ধি ও নতুন নতুন করারোপ করে জনগণের পকেট নিংড়ানো চলতে থাকবে।

সভায় সিপিবির নেতারা বলেন, ক্ষমতাসীনেরা কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও এরা মুক্তিযুদ্ধের ধারার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বাতিল করে মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম করেছে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের শুধু তোষণ নয়, তাদের অংশীদার করেছে সরকার। টাকা অবাধে পাচার হচ্ছে, যার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। লুটপাটকারীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সারা দেশে দুর্নীতি, আধিপত্য বিস্তার, বাক্‌স্বাধীনতা হরণ, ‘লোভ আর ভয় তৈরি করা’ সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

আগামী তিন বছর ধাপে ধাপে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিবির নেতারা বলেন, সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণেই আজ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।

সভায় সিপিবি নেতারা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া, কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানো, প্রকৃত কৃষকের পণ্যের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা, দেশের সর্বত্র উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তুলতে হবে। বাজার তদারকি ও প্রাইস কমিশনকে সক্রিয় করারও আহ্বান জানান তাঁরা। ঈদের আগে বোনাসসহ শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও ঘোষণার দাবি জানানো হয় সভায়।

সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সভাপতি মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিন রহমান, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, অধ্যাপক এ এন রাশেদা, মোতালেব মোল্লা ও পরেশ কর।