সোমবার ১৮টি জায়গায় কর্মসূচিতে হামলা ও গ্রেপ্তার হয়েছে: বিএনপি
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামসহ ১৮টি জায়গায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা ও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এর মধ্যে চট্টগ্রামে মিছিল-পূর্ব সমাবেশে পুলিশের বিরুদ্ধে বিনা উসকানিতে নেতা-কর্মীদের নির্বিচার লাঠিপেটা এবং গুলি ও শব্দবোমা নিক্ষেপ করে সমাবেশ পণ্ড করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ।
এমরান সালেহ বলেন, পুলিশের হামলায় ১০ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেমকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও মুক্তাগাছা, শেরপুরের নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী, ঢাকার ধামরাই, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ও ভৈরব, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, কুষ্টিয়া সদর, রাজশাহীর বাঘা, নরসিংদীর পলাশ, সিলেটের গোয়াইনঘাট, গাজীপুরের শ্রীপুর, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা হয়।
সরকারের সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা বলে উল্লেখ করে বিএনপির নেতা এমরান সালেহ বলেন, সরকারের মন্ত্রী-নেতারা বলেন, দেশে সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে। তাঁরা বিদেশিদের সামনে বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। সরকারের এই বয়ান সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, কর্তৃত্ববাদী শাসনকে অব্যাহত রাখতে সরকার রাজনীতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। গণ-আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার দমন-নিপীড়ন চালিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক মীর সরফত আলী, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম প্রমুখ।