শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন বাজেট পুনঃপ্রস্তাবের দাবি ইসলামী আন্দোলনের

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতীক

আসন্ন বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন বাজেট পুনঃপ্রস্তাবের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

রোববার এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এ দাবি জানান। তাঁর পক্ষে দলটির প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ সংবাদমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠিয়েছেন।

বিবৃতিতে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারসহ অতীতের সরকারগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অবহেলা করে পরিবহন ও যোগাযোগের মতো খাতগুলোতে উন্নয়ন বাজেটের বড় অংশ ব্যয় করেছে। এর ফলে চকচক রাস্তা ও সেতু দেখা গেলেও জনমিতির সুবিধার (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের) স্বর্ণসময়ে দেশের তারুণ্য সম্পদের বদলে বোঝায় পরিণত হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সেবায় মানুষকে নাকাল হতে হয়েছে। 

বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, তারুণ্য নির্ভর অভ্যুত্থানের পরে জাতি আশা করেছিল এই সরকার অতীতের সরকারগুলোর পাপমোচন করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট প্রস্তাব করবে। কিন্তু এই সরকারও অতীত পাপ প্রবাহকে জারি রাখছে।

শিক্ষা খাতে মোট মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশ ব্যয় করা প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশে উন্নয়ন ও পরিচালনা মিলিয়ে মাত্র ২ শতাংশ খরচ হয় উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নিয়ে সরকারের চিন্তাও হতাশ করেছে। বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ করতে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই।

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণ, শিল্পায়ন এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য পরিবহন, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মানব সম্পদ উন্নয়ন না হলে এবং নাগরিকেরা সুস্থ ও সবল না হলে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও অর্থনীতির মূল লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। একই সঙ্গে বিগত বছরগুলোর মতো আসন্ন বাজেটেও যোগাযোগ ও জ্বালানি খাতকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

ইসলামী আন্দোলন আশা করে, গণশিক্ষা, গণস্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে প্রধান বিবেচ্য করে বাজেট প্রস্তাব করা হবে এবং প্রস্তাবিত বাজেট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পাশ করা হবে।