১৫ জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ করল বিএনপি

আজ রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ১৫টি জেলায় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে
ছবি: শায়রুল কবির খান

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫টি জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ করেছে বিএনপি। আজ রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

যে ১৫টি জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ করা হয় সেগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, কক্সবাজার, ঠাকুরগাঁও, মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, জয়পুরহাট, যশোর ও রাজবাড়ী। সেখানকার দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে আলাদা করে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলীয় বইপুস্তক দিয়ে এ পাঠাগার করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সবাইকে বই পড়তে হবে। একটা অনুরোধ থাকবে, যাঁরা তড়িঘড়ি করে এই পাঠাগার তৈরি করলেন, অনেকেই সুন্দরভাবে পাঠাগার সাজিয়ে দিয়েছেন। শুধু সাজালে চলবে না, বইগুলো রেখে দিলে চলবে না। বইগুলো যেন পড়া হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।’

বর্তমান সরকার দেশে পাঠাগারগুলো ধ্বংস করেছে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আপনারা কতটুকু জানেন জানি না। আগে প্রতিটা জেলায় সরকারিভাবে পাঠাগার নির্মাণ করা হতো এবং সেখানে বরাদ্দ দেওয়া হতো, প্রচুর বইপত্র দেওয়া হতো। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র একটা আছে, সেই গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বইপত্রগুলো বিভিন্ন পাঠাগারে পাঠানো হতো প্রতিবছর। এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাঠাগারের আন্দোলন এখন নেই। এই আন্দোলনটা আমাদের তৈরি করতে হবে। সবাই এই কাজ করে না, যারা করে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। সবকিছুকে রাজনীতিকরণ করার প্রয়োজন নেই। রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রতিটি জেলায় অন্তত একটা পাঠাগার নির্মাণ করা দরকার, সেই প্রচেষ্টা আমাদের নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনলাইনে যুক্ত থাকা ১৫টি জেলার নেতারা বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম। অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তি উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩০ মে ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। সেদিন থেকে দলটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।