নদী দখলদারেরা সরকারের ঘাড়ে সওয়ার করে: কামরুল

কামরুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা–২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘নদী দখলদারেরা যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক—আওয়ামী লীগ থাকুক, বিএনপি থাকুক, জাতীয় পার্টি থাকুক—সেই সরকারের ঘাড়ে সওয়ার করে। নদী দূষণ করে। এটাই স্বাভাবিক।‌ এটাই হচ্ছে।’

সীমানাখুঁটি বসানো হলে দখলদারেরা তা সরিয়ে দেন, এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তারা সরকারি দলের ওপর আসর করে, সরকারি দলের ওপর ভরসা করে। এদের কোনো দল নেই। যে সরকারই থাকুক, তার ঘাড়ে সওয়ার করে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা অতীতে যে বুড়িগঙ্গা দেখেছি, সেই বুড়িগঙ্গা চাই, এটা পরিষ্কার কথা।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ টাওয়ার মাঠে এক অনুষ্ঠানে কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। দূষণমুক্ত নদীর প্রত্যয়ে ‘বুড়িগঙ্গা নদী কার্নিভ্যাল’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম।

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার করে খননকাজ শুরু হয়েছে। চ্যানেলের পাশে ১০০ ফুট চওড়া রাস্তা হবে। এ জন্য অনেকের বাড়িঘর ভাঙা পড়বে। যাঁদের বাড়িঘর ভাঙা পড়বে, সহযোগিতার জন্য তাঁর কাছে না আসার অনুরোধ জানান এ নেতা।

ধোলাইখাল এলাকায় খাল বিলীন হওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রাজধানীর ভেতর থাকা খালগুলো জিয়াউর রহমান নষ্ট করা শুরু করেছেন এবং এরশাদ সাহেব শেষ করেছেন।

ঢাকার চারপাশের নদ-নদীতে ওয়াটার বাস চালু করলে রাজধানীর যানজট কমে যাবে বলেও মন্তব্য করেন কামরুল ইসলাম।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। এতে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জাতীয় নদী রক্ষা কমিটির মনির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে ছোট ও বড় নৌকায় বুড়িগঙ্গায় শোভাযাত্রা বের করা হয়।