শেখ হাসিনা দেশে না এলে গণতন্ত্র উদ্ধার হতো না: মতিয়া চৌধুরী

শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মতিয়া চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই দেশে গণতন্ত্র উদ্ধার হয়েছে, দেশ গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।

সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী সেদিনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যেদিন ফিরে এসেছিলেন, সেদিন প্রকৃতিও অঝোর ধারায় কেঁদেছিল। সেদিন বিমানবন্দরে লাখো জনতার মুখে স্লোগান ছিল ‘ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে’। অন্যদিকে শেখ হাসিনা দেশের মাটিতে পদার্পণ করে বলেছিলেন, ‘আমার হারানোর কিছু নাই, পিতা-মাতা-ভাই, আত্মীয় হারিয়ে আমি বাংলার জনগণের কাছে ফিরে এসেছি। আপনারাই আমার আপনজন, আপনারাই আমার আত্মার আত্মীয়। আমরাই আবার গণতন্ত্র উদ্ধার করব।’

বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী যুবলীগের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও অধিক সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে, দেশের মানুষকে, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আবারও পেট্রলবোমায় গাড়ি পোড়ানো, মানুষ হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। যুবলীগ দেশের মানুষকে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র রাজপথেই কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।

আলোচনা সভায় যুবলীগ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন মামুনুর রশীদ, জাকির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, এইচ এম রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন খালেদ শওকত আলী, রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক খান, সাজ্জাদ হায়দার, মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জয়দেব নন্দী প্রমুখ।