বিএনপির শরিকদের কেউ ধানের শীষে, কেউ দলীয় প্রতীকে লড়বেন

যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য এখন পর্যন্ত ১৫টি আসন নিশ্চিত করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ছয়টি দল ছাড়া অন্য শরিক দলের নেতারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এ জন্য চারটি দলের প্রধান নেতারা ইতিমধ্যে নিজ দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আরও দুটি দলের মহাসচিব দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত শরিক দলের পাঁচ নেতা ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন।

বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করলেও ছয়টি দল নিজ নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলগুলো হলো: নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এর মধ্যে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ ভোলা-১ (সদর) আসনে গতকাল শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি দলের ‘গরুর গাড়ি’ প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আন্দালিভ রহমানকে ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে প্রার্থী করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা এ আসনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে আন্দালিভ রহমান ভোলা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করলেও ছয়টি দল নিজ নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলগুলো হলো: নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

ইতিমধ্যে পাঁচদলীয় মোর্চা ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’-এর তিন শীর্ষ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক ও জোনায়েদ সাকিকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-২), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক (ঢাকা-১২) ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬) আসনে নির্বাচন করবেন। মাহমুদুর রহমান দলীয় প্রতীক কেটলি, সাইফুল হক কোদাল ও জোনায়েদ মাথাল প্রতীকে লড়বেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে বিএনপি পটুয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তিনিও দলীয় ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে চারটি আসনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। আসন চারটি হলো সিলেট-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, নীলফামারী-১ ও নারায়ণগঞ্জ-৪। সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ ফারুক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দলের সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসেন কাসেমী প্রার্থী হবেন। মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁদের দলের সবাই দলীয় প্রতীক খেজুরগাছ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

এ ছাড়া যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে আবদুর রহিম ইসলামাবাদীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাছকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়ন নড়চড় না হলে তিনি ধানের শীর্ষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুই অংশই বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। উবায়দুল্লাহ ফারুকের নেতৃত্বাধীন জমিয়ত নিবন্ধিত, তাদের প্রতীক খেজুরগাছ। মাওলানা আবদুর রহিম ইসলামাবাদীর বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নিবন্ধন নেই। এই দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ওলিউল্লাহ আরমান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের প্রার্থী মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাছ ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-২), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক (ঢাকা-১২) ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬) আসনে নির্বাচন করবেন। মাহমুদুর রহমান দলীয় প্রতীক কেটলি, সাইফুল হক কোদাল ও জোনায়েদ মাথাল প্রতীকে লড়বেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে

নির্বাচনে প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে নিজ দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন দুজন নেতা। তাঁদের একজন বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, অন্যজন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। দুজনই যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ছিলেন। শাহাদাত হোসেনকে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে, সৈয়দ এহসানুল হুদাকে কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর ও নিকলী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজও বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর, আদাবর) আসনে ধানের শীর্ষ প্রতীকে লড়বেন। বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় দল ও এনডিএমের নিবন্ধন নেই।

ববি হাজ্জাজ গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আমাদের সবাইকে কৌশলগতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা মনে করি, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই শেষ সময়ে এসে আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) বদল এসেছে। আমাদের দল নিবন্ধিত নয়। আবার জোটের অনেক দলের নির্বাচনী প্রতীক পরিচিত নয়। এবার ভোটের প্রচারে পোস্টারও থাকছে না। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে জোটের সবার উচিত ধানের শীষে নির্বাচন করা, যাতে সংসদের উভয় কক্ষে আমরা আরও বেশি সুবিধা পেতে পারি।’

আগামীতে দেশ পরিচালনার জন্য তরুণ মেধাবী রাজনীতিবিদদের প্রয়োজন। সে জন্য তারুণ্যের ভাবনাকে আমরা ধারণ করছি, যারা বিগত আন্দোলনে অবদান রেখেছে। তাদের অনেককে আমরা বিএনপিতে অন্তর্ভুক্ত করেছি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ

শরিকেরা ধানের শীষ প্রতীকে কেন

নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বিএনপির শরিক দলগুলোর অনেক নেতা ধানের শীষ প্রতীকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এককভাবে নির্বাচনী মাঠে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে না পারার বাস্তবতা থেকেই এই সিদ্ধান্ত এসেছে। স্থানীয় পর্যায়ে ভোটের সমীকরণ ও সংগঠনের দুর্বলতাও এতে প্রভাব ফেলেছে। শরিক দলের নেতাদের কারও কারও আশঙ্কা, নিজস্ব প্রতীকে ভোট করলে প্রতিপক্ষ সুবিধা পেয়ে যেতে পারে। সে কারণে তাঁরা ধানের শীষকেই নিরাপদ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বাস্তবতা বিবেচনায় এ ব্যাপারে শরিকদের উৎসাহিত করছে। এখনো সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এই কৌশল মাঠপর্যায়ে প্রার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন।

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামীতে দেশ পরিচালনার জন্য তরুণ মেধাবী রাজনীতিবিদদের প্রয়োজন। সে জন্য তারুণ্যের ভাবনাকে আমরা ধারণ করছি, যারা বিগত আন্দোলনে অবদান রেখেছে। তাদের অনেককে আমরা বিএনপিতে অন্তর্ভুক্ত করেছি।’

এ ছাড়া ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজও বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর, আদাবর) আসনে ধানের শীর্ষ প্রতীকে লড়বেন। বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় দল ও এনডিএমের নিবন্ধন নেই।

নির্বাচন করবেন না মোস্তফা জামাল

এর আগে বিএনপি ১২-দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারকে পিরোজপুর-১, সমমনা জাতীয়তাবাদী জোটের প্রধান ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে নড়াইল-২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। ফরিদুজ্জামান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করবেন। তবে তাঁর দল এনপিপি বিলুপ্ত হচ্ছে না।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) দায়িত্বশীল সূত্র গতকাল প্রথম আলোকে জানিয়েছে, মোস্তফা জামাল হায়দার শারীরিকভাবে নির্বাচনের জন্য সক্ষম নন। ইতিমধ্যে বিষয়টি বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে পিরোজপুর-১ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী, যিনি জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই আসনে প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীক ছাড়া জয়ী হয়ে আসার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে, আবার এই বয়সে এসে বিএনপিতে যোগ দেওয়াটা শোভন দেখায় না, সে জন্য মোস্তফা জামাল নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিএনপিতে দুই দলের মহাসচিব

দুটি নিবন্ধিত দলের মহাসচিব বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের একজন কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ। তাঁকে কুমিল্লা-৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। রেদোয়ান আহমেদ একসময় বিএনপিতে ছিলেন। নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনও বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে।

কেন এলডিপির মহাসচিবের পদ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন, জানতে চাইলে রেদোয়ান আহমেদ গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিএনপির কাছে এলডিপির জন্য ১২টি আসন চেয়েছি। প্রকৃতপক্ষে এলডিপিতে অলি আহমদ ও আমি ছাড়া জেতার মতো প্রার্থী নেই। কিন্তু অলি সাহেব দুটি আসনে রাজি হননি। কার্যত তিনি ৫ আগস্টের পর জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। ভেতরে-ভেতরে সমঝোতায় গেছেন। এটা মেনে নিতে পারিনি।’

কিছু আসনে প্রার্থী বদল

বিএনপি একাধিক আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন এনেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসন উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রাম-৪ আসনে প্রার্থী বদল করে আসলাম চৌধুরীকে, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও খুলশী) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে, চট্টগ্রাম-১১ আসনে (বন্দর-পতেঙ্গা) বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানকে প্রার্থী করা হয়েছে।

এ ছাড়া যশোর-১ (শার্শা), যশোর-৫ (মনিরামপুর) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোর-১ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসানকে বাদ দিয়ে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনকে, যশোর-৫ বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে, যশোর-৬ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামের পরিবর্তে কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনকে আজাদ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো আসনে পরিবর্তন নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আছে বলে জানা গেছে।