বিএনপি–জামায়াত বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ
ছবি: তথ্য মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এর অর্থ জনগণ ও জনগণের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করা, জনগণকে তোয়াক্কা না করা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কাছে অনুনয়-বিনয় করা দেশবিরোধী অপতৎপরতা।’

‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা হয়। এর আয়োজন করে দেশের ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস)।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাইসস সভাপতি গোলাম সারোয়ার। বক্তব্য দেন মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিবিদ ধরনা দেবে জনগণের কাছে। যারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে, তারা জনগণের কাছে ধরনা দেবে। কিন্তু জনগণের কাছে ধরনা না দিয়ে রাত-বিরাতে বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এটি দেশবিরোধী অপতৎপরতা। আমাদের ভেতর যদি রাজনৈতিক মতদ্বৈততা বা মতবিরোধ থাকে, সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা না করে বিদেশিদের কাছে নিয়ে যাওয়াও দেশবিরোধী অপতৎপরতা এবং এই কাজ বিএনপিসহ তার মিত্ররা করছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন—এই চারটি বিষয়ের মধ্যে বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ। জনগণের কোনো বিষয়াদি তাদের মধ্যে নাই। বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা বাড়ল কি বাড়ল না, গায়ের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না, সেটি নিয়ে তারা ব্যস্ত। জনগণ নিয়ে তারা ব্যস্ত নাই।’

এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, সেটি শুধু দেশের জন্যই নয়, এই উপমহাদেশের জন্য উদাহরণ। কদিন আগে পশ্চিম বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন, আমাদের দেশে সেটি হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল বিএনপির ওপর একটি চপেটাঘাত। কারণ, বিএনপি যে নির্বাচনে শুধু অংশগ্রহণ করে নাই তা নয়, তাদের নেতা–কর্মী-সমর্থকদেরও নির্বাচন বর্জন করতে বলেছে। কিন্তু তাদের আহ্বানে কেউ সাড়া দেয় নাই। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। এখান থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, আগামী নির্বাচন বিএনপি বর্জন করতে পারে, জনগণ তা করবে না, জনগণ অংশ নেবে।’

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের তৃণমূলের নেতা হিসেবে তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ অনেকটা আপনাদের ওপর নির্ভর করে। তাই অনুরোধ জানাব, গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ুন। আগামী নির্বাচনে যাতে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেন, সেটির প্রচারণা করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রগতি যাতে অব্যাহত থাকে, সেটির পক্ষে প্রচার করুন।’