বিদেশে অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার মন্ত্রণালয়ের নেই: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতছবি: মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যামে বিভ্রান্তিকর অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে আনাইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সরাসরি কোনো এখতিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের নেই বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তবে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, দেশে ও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার রোধে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য অধিদপ্তরের অধীন ফ্যাক্ট চ্যাকিং নামে একটি কমিটি আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সজাগ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে অপপ্রচারের জবাব তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অচিরেই অপপ্রচার বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

চয়ন ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বই অপপ্রচার ও গুজব নিয়ে খুবই চিহ্নিত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে ‘মিস ইনফরমেশন (ভুল তথ্য) ও ডিস ইনফরমেন’(অপতথ্য)কে আগামী দিনের প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি অংশীজনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছেন। দেশকে অসত্য ও গুজবমুক্ত করতে পারলে দেশে মক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির কোনো জায়গা হবে না। কারণ, এই অপশক্তি শুধু অসত্য ও গুজবের ওপর ভিত্তি করে তাদের জায়গা করে নিয়েছে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, একই সঙ্গে গুজবকে প্রতিহত ও ডিসইনফরমেশনকে আটকে দেওয়া একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এটি নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইন, স্বরাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, শিগগির একটি জায়গায় যাওয়া সম্ভব হবে, যাতে দেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ হয়, আবার অপতথ্যকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা যায়।

সম্পূরক প্রশ্নে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক জানতে চান, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। হয়তো এসব আইডিতে ইতিবাচকভাবে পোস্টগুলো হচ্ছে। কিন্তু কখনো কখনো অনিশ্চিয়তা থাকে। এটা জানাটা খুবই জরুরি, কোন উৎস্য থেকে এটা খোলা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে এগুলো বন্ধ করার মতো সক্ষমতা নেই। স্বরাষ্ট্র, আইন ও আইসিটি বিভাগের সমন্বয়ে এর মাধ্যমে একটা সমাধান বের করা হবে, যাতে এ ধরনের সুযোগ আর ভবিষ্যতে তৈরি না হয়।