বিএনপি ডেঙ্গুর চেয়েও মারাত্মক: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দুর্মুখেরা বলেন, ডেঙ্গু যেমন মারাত্মক, বিএনপি তার চেয়েও মারাত্মক। ডেঙ্গু মশা কামড়ায়, বিএনপিও মানুষ পোড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চেয়েও বিএনপি মারাত্মক।’

আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ডেঙ্গু নিয়েও অপপ্রচার শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে, ডেঙ্গু মশার জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। ডেঙ্গু মশা আওয়ামী লীগ, বিএনপি চেনে না। সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং জনগণের সচেতনতায় ডেঙ্গু সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব। আমরা করোনাকে মোকাবিলা করেছি।’

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খান, ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. মোরশেদ হোসেন ও অধ্যক্ষ অসীম বড়ুয়া।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোন উচ্চতায় রয়েছে, তা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে গিয়েছেন। জি-২০-এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হচ্ছে ভারত। এই উপমহাদেশ থেকে আর কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। ১০ সেপ্টেম্বর আসবেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী। কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সহযোগিতা ও বহুমাত্রিক সম্পর্কের প্রমাণ হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা সংলাপ।’

স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ সরকার নিয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গত ১৫ বছরে সরকারি-বেসরকারি বহু মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে সরকার। দেশে প্রায় ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। হিসাব বলছে, প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ কোথাও নেই।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রবৃত্তি চিকিৎসাসেবা এবং চিকিৎসকদের ওপর আস্থাহীনতা তৈরি করছে। এটি সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড ভোগাচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও ভূমিকা রাখতে পারে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সপ্তাহে অন্তত এক দিন বিনা মূল্যে রোগী দেখলে অনেক রোগীর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু সেটি খুব কম চিকিৎসকই করেন। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মনের গভীরে প্রোথিত করা প্রয়োজন।