আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এখনো যমুনার সামনে বিক্ষোভ

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এনসিপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার সকাল ছয়টার চিত্রছবি: নোমান ছিদ্দিক

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো চলছে। ইতিমধ্যে আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে।

শুক্রবার সকাল ছয়টার সময় দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েক শ নেতা-কর্মী বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা কিছুক্ষণ পরপর স্লোগান দিচ্ছেন।

সকাল আটটার দিকে যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জামায়াতের নেতা–কর্মীরা যোগ দেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে কয়েক শ নেতা–কর্মী এ বিক্ষোভে অংশ নেন।

জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতা–কর্মী এই বিক্ষোভে অংশ নেন
ছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা

কখনো টানা, আবার কখনো কিছুটা বিরতি দিয়ে যমুনার সামনে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে ও ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এনসিপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার সকাল ছয়টার চিত্র
ছবি: নোমান ছিদ্দিক

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাঁদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন। 

এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে উপস্থিত হন। রাত দুইটার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। 

আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এনসিপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার সকাল ছয়টার চিত্র
ছবি: নোমান ছিদ্দিক

রাত দুইটার কিছুক্ষণ আগে যমুনার সামনে মাইকে স্লোগান ধরেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় যমুনার আশপাশ স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে। কখনো স্লোগান ওঠে—‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগকে ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’।

আরও পড়ুন