সরকার একতরফা নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীদের মিছিল। প্রেসক্লাব এলাকা, ৮ নভেম্বর
ছবি: প্রথম আলো

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে একতরফা নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভেঙে ক্রমে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে সরকার। তবে যেকোনো কিছুর বিনিময়ে একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশের আগে প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন ও বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেন তাঁরা।

সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই সরকার একতরফা নির্বাচন করার জন্য আবার মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভাঙার খেলায় তারা মত্ত হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ভেঙে তারা একতরফা নির্বাচন করতে চায়।’

যাঁরা নির্বাচনে যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন, তাঁরা জাতীয় বেইমান—এই মন্তব্য করেন শেখ রফিকুল ইসলাম। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি মুক্তিযোদ্ধা। আপনাকে দেশের মানুষ সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে। আপনি এই (দল ভাঙার) খেলায় মাতবেন না। এই পাতানো খেলায় পা দেবেন না।’

দলীয় সরকারের অধীনে গণতন্ত্র মঞ্চ নির্বাচনে যাবে না এবং যেকোনো কিছুর বিনিময়ে একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করবে বলেও সমাবেশে উল্লেখ করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলন উল্লেখ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজপথের আন্দোলনকারী শক্তির মধ্যে লোভ-লালসা ঢুকিয়ে দিয়ে ও ষড়যন্ত্র করে একতরফা নির্বাচনের দিকে হাঁটার চেষ্টা চলছে।

ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব বিরোধী দল রাজপথে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন শহীদ উদ্দিন মাহমুদ।

সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানসহ গণতন্ত্র মঞ্চের আরও কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।