শেখ হাসিনার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পালানো নিয়ে প্রশ্ন বিএনপিতে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যার সহযোগী ছিলেন এবং ইতিমধ্যে যাঁরা হত্যা মামলার আসামি—শেখ হাসিনা সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের নেতারা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।
দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে কয়েকজন সদস্য আলোচনা করেন। গণ-অভ্যুত্থানের দুই মাসের মাথায় এসেও অনেকে গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, তাঁরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন, পতিত শেখ হাসিনা সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী-সংসদ সদস্য বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের কাউকে কাউকে ভারতের বিভিন্ন মাজার ও পার্কেও দেখা গেছে। বিএনপির নেতারা মনে করেন, হত্যা মামলার পরেও এসব আসামি কীভাবে পালালেন, কারা তাঁদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে, এসব বিষয়ে জনমনে যথেষ্ট প্রশ্ন ও উদ্বেগ আছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবারের সভায় দেশের চলমান পরিস্থিতি, গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও সদস্যরা আলোচনা করেন। তাঁরা বুঝতে চাইছেন, দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে সংস্কার করতে চাইছে, সংস্কারের রোডম্যাপ কেন দেওয়া হচ্ছে না, সংস্কার কবে নাগাদ হবে—এসব বিষয়েও বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন আছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কেউ উদ্ধৃত হতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, চলমান পরিস্থিতি, সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান লন্ডন থেকে এবং মির্জা ফখরুল, আমীর খসরু ও ইকবাল হাসান দেশে ও বিদেশ থেকে অনলাইনে যুক্ত হন।