বিএনপির নেতারা বলেছেন, অবস্থান কর্মসূচিতে তাঁরা ফুটপাত ধরে সড়ক বিভাজক পর্যন্ত, সড়কের একটি অংশে অবস্থান নেবেন। নয়াপল্টন এলাকায় দেখা যায়, ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল পর্যন্ত সড়কের এক পাশে বিএনপি ও দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের জন্য বসার জায়গা নির্ধারিত রয়েছে।

সড়কে ত্রিপল বিছিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ফুটপাতে কিছু চেয়ার বসানো হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বসছেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছোট মঞ্চ করা হয়েছে। মাইকে কেন্দ্রীয় নেতারা দলের নেতা-কর্মীদের নির্ধারিত জায়গায় বসার অনুরোধ করছেন।

গণ-অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে। কাকরাইল ও ফকিরাপুল মোড়ে জলকামান নিয়ে পুলিশেরা সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। এর বাইরেও বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন।

জামিনে মুক্তি পাওয়ার দুই দিন পরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ঢাকার কর্মসূচিতে। মির্জা ফখরুলের পাশাপাশি স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সদ্য কারামুক্ত আরেক নেতা মির্জা আব্বাসও উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির পাশাপাশি সরকারবিরোধী অন্তত চারটি জোট আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব, বিজয়নগর ও পুরানা পল্টন এলাকায় গণ-অবস্থান করছে। এর মধ্যে সাতদলীয় জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ বেলা ১১টা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট কাছাকাছি জায়গায় গণ-অবস্থান করবে।

১২-দলীয় জোট বিজয়নগরে পানির ট্যাংকের পাশে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন এলাকায়, অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এফডিসি-সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম আরামবাগে ইডেন কমপ্লেক্স-সংলগ্ন সড়কে পৃথক গণ-অবস্থান করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

এর আগে ৩০ ডিসেম্বর সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকায় বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো যুগপৎ গণমিছিল করেছিল। তার আগে বিএনপি রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ও ২৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে।