শ্রমিকদের দমন–পীড়ন না করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান টিইউসির

তৈরি পোশাকশিল্পের (গার্মেন্টস) শ্রমিকদের ওপর দমন-পীড়ন ও নির্যাতন বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে যুক্তিযুক্ত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)। রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবনে অনুষ্ঠিত টিইউসির জাতীয় পরিষদের এক সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
টিইউসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

টিইউসির জাতীয় পরিষদের সভায় বলা হয়, ৭ নভেম্বর পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য যে মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে, তা খুবই অপ্রতুল। এটি বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ধারা ১৪১-এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই ধারা মোতাবেক শ্রমিকদের জীবনযাপন ব্যয়, জীবনযাপনের মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, উৎপাদিত পণ্যের মূল্য, মূল্যস্ফীতি, কাজের ধরন, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সক্ষমতা, সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে দেখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ঘোষিত সাড়ে ১২ হাজার টাকা মজুরি কোনোভাবেই শ্রমিকদের জীবনযাপন ব্যয় মেটাতে পারবে না। এতে উৎপাদনশীলতা রক্ষা করা যাবে না এবং জাতীয় স্বার্থ খর্ব হবে। এই মজুরি বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, তাই তা পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে।

সভায় বলা হয়, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হত্যা-হামলা মামলা দিলে শ্রমিকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হবেন, যা শিল্প, শ্রমিক ও অর্থনীতিতে মঙ্গল বয়ে আনবে না। সভায় আরও বলা হয়, সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদকে (টিসিসি) পাশ কাটিয়ে সম্প্রতি শ্রম আইন সংশোধনী বিল যেভাবে পাস করা হয়েছে, তা অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবিরোধী।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সহসভাপতি তপন দত্ত ও মো. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দপ্তর সম্পাদক সাহিদা পারভীন প্রমুখ।

সভায় বিভিন্ন খাতের শ্রমিকসংক্রান্ত আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে টিইউসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।