অ্যামনেস্টির বিবৃতি কাগজের টুকরা ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে অবিলম্বে বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বানকারী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি তাদের একটি বিবৃতিতে বিরোধী দলের বিক্ষোভে বলপ্রয়োগ না করার জন্য বলেছে কিন্তু তারা বিরোধী দলকে মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোর বিষয়ে কিছু বলেনি।
অ্যামনেস্টির বিবৃতি কাগজের টুকরা ছাড়া কিছু নয়, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ দেশে জীবন্ত মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ালে বা ফিলিস্তিনি শিশুদের ঢিল ছোড়ার জবাবে ইজরায়েলি সেনাদের গুলিবর্ষণে পাখির মতো মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয় না, তাদের বিবৃতি কাগজের টুকরা ছাড়া কিছু নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল, অর্থাৎ এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মন্ত্রী তাঁর দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্বভুক্ত রংপুর বিভাগের সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে সভায় দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জনসভা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে, রংপুরের জনসভাই তার প্রমাণ।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২ আগস্ট রংপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা, যা শহরজুড়ে জনসমুদ্রে পরিণিত হয়েছিল, তাতে যে দুটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে, তা হলো রংপুর আজ অন্য কারও নয়, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এবং আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে, অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ এবং এই জনজোয়ার ধরে রাখতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরাসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচির বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কয়েক দিন আগে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে পুলিশ ও আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা-নাশকতা করে শেষে পালিয়ে গেছে। দুর্মুখেরা এখন বিএনপির নাম দিয়েছে “বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি”।’