উত্তরায় পুলিশের বাধায় বিএনপির মিছিল পণ্ড, আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হলো মঈন খানকে

উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল থেকে মঈন খানকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশছবি: বিএনপির সৌজন্যে

‘ডামি সংসদ’ বাতিলের দাবিতে রাজধানীর উত্তরার আজ বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানের পাশের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশের ভ্যানে করে মঈন খানকে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িতে তোলার আগে মঈন খান পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কী অপরাধ করেছি?’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঈন খানকে পুলিশের গাড়িতে তোলার আগে তাঁকে পেছন থেকে ঠেলে গাড়িতে তোলা হয়।

মঈন খান ১২ নম্বর সেক্টরের এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন। গাড়িতে তোলার কয়েক মিনিট আগে তিনি সেখানে পৌঁছান। এ সময় কিছু নেতা-কর্মী রাস্তায় দাঁড়ান। তাঁরা দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য দৌড়ে আসে। পুলিশকে আসতে দেখে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক কর্মী দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় মঈন খান বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

মঈন খান বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল একটি কারণে। সেটা হলো, আমরা একটা দেশ চাই, যে দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন থাকবে। কিন্তু আজ কিছুই নাই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাব। রাজপথে থাকব।

এ সময় পুলিশ মঈন খানকে গাড়িতে তুলে নেয়। তখন সমাবেশেও পণ্ড হয়ে যায়।
এ বিষয়ে পুলিশের ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দীন বলেন, তারা (বিএনপি) সমাবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এটা ছিল অনুমোদনহীন। তারা দরখাস্ত করেছিল, কিন্তু আইনশৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে এটা অনুমোদন করা হয়নি। যে কারণে আমরা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। ৮ থেকে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

মঈন খানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এডিসি মির্জা সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আসলে ওনার নিরাপত্তাঝুঁকি দেখা দিয়েছিল। যে কারণে আমরা তাঁকে একটু সরিয়ে নিয়েছি আরকি।’  

কী ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকি ছিল, তা জানতে চাইলে এডিসি মির্জা সালাউদ্দীন বলেন, মঈন খানের ব্যক্তিগত ও শারীরিক ঝুঁকি ছিল।

মঈন খানকে তুলে নেওয়ার সময় তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছিল—এমন অভিযোগের বিষয়ে এডিসি মির্জা সালাউদ্দীনের বক্তব্য, ‘কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি। পুলিশ সদস্যরা পেশাদারির পরিচয় দিয়েছেন। ’

পরে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেছেন, মঈন খানকে কেউ আটক করেনি। তাঁকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।