২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহারের আশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পেট্রোবাংলার অধীন রূপান্তরিত গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (আরপিজিসিএল) জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির ওপর উন্নত বিশ্বের চলমান অধিকতর গবেষণাগুলোর ফলাফল এবং গৃহীত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার লক্ষ্যে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেল গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি পেলে একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। আশা করা যায়, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদিত বিদ্যুতের ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে। আরও প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার ১০০টির বেশি প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক জ্বালানির ব্যবহার বহুলাংশে কমবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধনী–গরিবনির্বিশেষে সবার জন্য সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচারব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে অধস্তন আদালতে ১ হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উপকারভোগী মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী—এই পাঁচ বিভাগ এখন সম্পূর্ণ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত। অর্থাৎ এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোনো ভূমিহীন বা গৃহহীন মানুষ নেই।