সব পর্যায়ে শরিয়াহ আদালতের প্রস্তাব ইসলামী আন্দোলনের
দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে সর্বনিম্ন আদালত পর্যন্ত শরিয়াহ আদালত স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘দেশের সব পর্যায়ে আরেকটা মৌলিক প্রস্তাবের মধ্যে আমরা বলেছি, আলাদা শরিয়াহ আদালত স্থাপন করতে হবে। বর্তমানেও আদালতে বিভিন্ন শরিয়াহর আলোকে বিচার ফয়সালা হয়, কিছু কিছু বিষয়ে যেমন মুসলমানদের বিবাহ, তালাক, উত্তরাধিকার ও মিরাজ–সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে।’
এই নেতা আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা বলছি, শরিয়াহ মোতাবেক শরিয়াহর ওপর আস্থা রেখে যদি উভয় পক্ষ বিচার ফয়সালা চায়, সেই ক্ষেত্রে সুযোগটা থাকতে হবে সর্বোচ্চ আদালত থেকে সর্বনিম্ন আদালত পর্যন্ত। আদালতের সব স্তরে আলাদা শরিয়াহ আদালত থাকতে হবে এবং সেখানে যাঁরা ইসলামি স্কলার, তাঁদের নিয়োগ দিতে হবে। শরিয়াহ আইনে বিচার খুব দ্রুত ফয়সালা হয়। এ জন্য আমরা আলাদা শরিয়াহ আদালত চেয়েছি।’
আল্লাহ, রাসুল, পবিত্র কোরআনকে নিয়ে অবমাননাকর কথা বলা বন্ধ করতে সুনির্দিষ্ট আইনের প্রস্তাব দেয় দলটি। এ ছাড়া দলটি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করা ছাড়া জাতীয় নির্বাচন করা যাবে না বলেও তারা মত দেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করেই নির্বাচনে যেতে হবে। কারণ, অতীতে কিছু ভালো নির্বাচন হলেও ক্ষমতায় আসা সরকার জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করেনি।
সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ রাখার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে দলটি। গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা বলেছি, বহুত্ববাদ রাখা যাবে না, পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, যেটা আগে ছিল, এটা পুনঃস্থাপন করতে হবে।’
এ ছাড়া দলটি পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, একই ব্যক্তি রাজনৈতিক দল ও সরকারপ্রধান হতে না পারা, ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা গড়ে তোলারও প্রস্তাব দিয়েছে।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, মাহবুবুর রহমান, আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।