জনবিচ্ছিন্নদের ৭ দলীয় জোট রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী

গতকাল সোমবার জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন—এই সাত দল নিয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে জোট গঠনের ঘোষণা দেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘“গণতন্ত্র মঞ্চ” নামে ৭ দলীয় একটি জোট গতকাল গঠিত হয়েছে দেখলাম। যাঁরা এই জোট গঠন করেছেন, তাঁরা সবাই রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ এবং রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই নানা দল করেন, নানা ঘাটের পানি খেয়ে আজকের এ অবস্থায় এসেছেন এবং জনগণের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এটি একটি গুরুত্বহীন জোট এবং ভোটের রাজনীতি বলুন বা দেশের সার্বিক রাজনীতি—কোনো ক্ষেত্রেই তাদের কোনো গুরুত্ব নেই উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা নিজেরা যেহেতু গুরুত্বহীন, তারা মিলে একটি জোট গঠন করে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে মাত্র, অন্য কিছু নয়।’

এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জেরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সঙ্গে সকালে মহাখালীতে দেখা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দেন।

এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৯ সালে যখন পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু হয়, তখন বিএনপি-জামাত সারা দেশে গুজব ছড়িয়ে দেয় যে পদ্মা সেতুতে মানুষের রক্ত লাগবে, নরবলি দিতে হবে। তসলিমা বেগম রেনু সে সময় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে গিয়েছিলেন। বিএনপি-জামাত সৃষ্ট গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শুধু তসলিমা বেগমই নয়, বিএনপি-জামাতের গুজবের কারণে আরও অনেককে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ধরনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় রেনু বেগম হত্যার বিচারের বিষয়েও দলীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহাখালী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।