বিরোধীদলীয় নেতা সরকারের ঠিক করে দেওয়া সুস্থ রাজনীতি নয়: তৃণমূল বিএনপি

‘সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উত্তরণে নাজমুল হুদার ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী (মাঝে)ছবি: শুভ্রকান্তি দাশ

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, উপনেতা কে হবেন—সে সিদ্ধান্ত বিরোধী দলের কার্যালয়ে হয় না। সরকারি দলের কার্যালয়ে সেই সিদ্ধান্ত হয়, যা অসুস্থ রাজনীতি।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নাজমুল হুদার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উত্তরণে নাজমুল হুদার ভাবনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, ‘তথাকথিত বিরোধী দল বলে, আমরা (বিরোধী দল) যেখানে যেখানে নির্বাচন করব, সেখানে নৌকা মার্কার কোনো প্রার্থী দিতে পারবেন না। বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, উপনেতা কে হবেন, সে সিদ্ধান্ত সেই দলের কার্যালয়ে হয় না। সেটা সরকারি দলের কার্যালয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তথাকথিত বিরোধী দলের মধ্যে নতুন একটি ধারা বের হচ্ছে দেখছি, সেটা মার্চে দেখতে পাব কী দাঁড়ায়। এই সবকিছু হচ্ছে অসুস্থ ও সমসাময়িক রাজনীতি।  

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির যেসব প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে ছিলেন, তাঁদেরকে ধন্যবাদ দেন শমসের মুবিন চৌধুরী। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে তৃণমূল বিএনপি আর্থিক, সাংগঠনিক ও যোগাযোগ প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয়তো আপনারা সামগ্রিকভাবে আসনে নির্বাচিত হতে পারেননি। এই প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা একটি কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছেন, সেটা তৃণমূল বিএনপির বিজয়।

তৃণমূল বিএনপি নির্বাচনমুখী দল এবং তারা অন্য দলের প্রতীক নিয়ে কখনো নির্বাচন করবে না বলেও জানান শমসের মুবিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কোনো দল রাতারাতি বা প্রথমবার নির্বাচন করে ক্ষমতায় যায় না। আগামীকাল, পরশু বা আগামী বছর নয়, আগামী যুগের দিকে তাকাতে হবে। নাজমুল হুদার নীতি–আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জড়িত থাকবেন। কাজ করে যাবেন। সংসদ সদস্য হলাম কি না, সে কথা চিন্তা কইরেন না। সংসদ সদস্য না হয়েও অনেক কাজ করতে পারবেন।’

এই আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের প্রশংসা না করলে সেখানে পোস্ট–পজিশন থাকে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হলো তোষামদি করা। তোষামোদি না করতে পারলে আপনি দল থেকে ছিটকে পড়বেন।

তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আইনজীবী আবদুল মোতালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মো. আক্কাস আলী খান। এ সময় তৃণমূল বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কয়েকজন প্রার্থীও বক্তব্য দেন।