টকশো ও নির্বাচনী সংলাপে ‘কটূক্তি, হেয় করা বা ব্যক্তিগত আক্রমণের’ প্রচার নয়: ইসি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের আগে টেলিভিশন ‘টকশো’ ও নির্বাচনী সংলাপে কোনো ধরনের ‘কটূক্তি, হেয় করা বা ব্যক্তিগত আক্রমণের বক্তব্য’ প্রচার না করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এসব অনুরোধ জানানো হয়েছে। আজ বুধবার চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে নির্বাচনী অনুষ্ঠান প্রচারের আহ্বান জানানো হয়।
ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নির্বাচনী পরিবশে সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টকশো বা নির্বাচনী সংলাপ পরিবেশনের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ প্রদানের বিষয়টি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।’
সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেলে নির্বাচনী সংলাপ বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান; এবং কোনো দল বা প্রার্থীকে হেয়প্রতিপন্ন করে কোনো বক্তব্য বা কটূক্তি যাতে প্রচার করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে ইসি।
ইতিমধ্যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। আর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি, নিষ্পত্তি ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২১ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন। নির্বাচনী প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে।