‘এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’

আগুন জ্বলছে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকেছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা। তারা বলছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানায় তারা।

আজ শুক্রবার পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকলে দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় ঘটতেই থাকে। কারণ, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। ফলে জনসমাজে নৈরাজ্য বিরাজ করে বলেই নানা দুর্ঘটনা ঘটে ও মানুষের প্রাণ ঝরে যায়।

এক বিবৃতিতে গভীর শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তাঁরা এ অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও উন্নত চিকিৎসা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বাম গণতান্ত্রিক জোট  বলেছে, ‘এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড।’   বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি বলছে, ‘অপরিকল্পিত স্থাপনা ও মুনাফাশিকারিদের কারণে দেশটা যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।’

এ ঘটনায় আরও শোক জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও ছাত্র ইউনিয়ন। আগুনের ঘটনায় শোক জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) বলছে, ভবনে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। মানুষের আসা–যাওয়ার জন্য কেবল একটি সিঁড়ি ছিল। ভবন কর্তৃপক্ষকে ফায়ার সার্ভিস একাধিকবার নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই আগুনের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেছে, ভবনটি একটি টাইম বোমার মতো, ভেন্টিলেশনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। কোনো বিপৎকালীন আলাদা বহির্গমন পথ ছিল না।