লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে জেলার বিদ্যুৎ কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি বিএনপির

নয়াপল্টনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ৬ জুন
ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতের ‘অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে’ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ৮ জুন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব জেলার বিদ্যুৎ কার্যালয় প্রাঙ্গণে এই অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

গতকাল সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। দলের স্থায়ী কমিটির এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত তুলে ধরতে আজ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
রুহুল কবির বলেছেন, সারা দেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষের এখন ত্রাহি অবস্থা। গ্রামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় এখন দু-এক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ আসে। মফস্‌সল শহরগুলোয় রাতে দুই ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। দিনের বেলায়ও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। রাজধানীতেও দিনে-রাতে তিন-চার ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।

রুহুল কবির বলেছেন, তথাকথিত উন্নয়নের ইন্দ্রজাল সৃষ্টির অপপ্রয়াস দেশবাসী এখন দেখছে। শুধু নিজেদের ঘনিষ্ঠজনকে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক করার জন্যই রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভর্তুকির নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা পকেট থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে।

রুহুল কবির আরও বলেন, কেন পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রসহ একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ দিয়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধ করতেই ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। সে জন্য এই রেন্টাল-কুইক রেন্টালের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। তারা জনগণের সবচেয়ে বড় দুশমন।

গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চে হামলার প্রতিবাদ

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির অভিযোগ করেন, গতকাল বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বন্দরে শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ চলাকালে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহরে ‘সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা’ হামলা চালিয়ে ছয়জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গুরুতর আহত করেছেন। তিনি সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলমকে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরও পুরোনো এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নিন্দা জানান। তিনি বলেন, রফিকুল আলমকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গ্রেপ্তার না করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনিষ্পন্ন মামলায় তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, আসাদুল করিম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আবদুল কাদির ভূঁইয়া প্রমুখ।