প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগের কারণে বড় ক্ষত তৈরি হয়েছে: এবি পার্টি
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগ ও হামলার কারণে কত বড় ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা বোঝার ক্ষমতা যাদের নেই, তাদের শরিফ ওসমান হাদির চিন্তা ও আদর্শের অনুসারী ভাবা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
শুক্রবার দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকালে রাজধানীর ফারইস্ট মিলনায়তনে দলের মনোনীত প্রার্থী এবং কেন্দ্র ও তৃণমূল নেতাদের নিয়ে এক যৌথ সভার আয়োজন করে এবি পার্ট। যৌথ সভা শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ সভায় পরিণত হয়।
দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা ওসমান হাদির খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান। তীব্র ভাষায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদী আচরণ বন্ধের দাবি জানান তাঁরা। তাঁরা বলেন, আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে কিছু কুচক্রী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত। তাদের তৎপরতায় হাসিনা এবং আধিপত্যবাদীরাই লাভবান হবে।
বক্তারা বলেন, বরেণ্য সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা এবং প্রথম আলো-ডেইলি স্টার অফিসে আক্রমণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত পর্যন্ত দেশের সিংহভাগ মানুষ ওসমান হাদির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ, সোচ্চার ও এক কণ্ঠ ছিলেন। প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগ ও হামলার কারণে কত বড় ক্ষত তৈরি হলো, তা বোঝার ক্ষমতা যাদের নেই, তাদের ওসমান হাদির চিন্তা এবং আদর্শের অনুসারী ভাবা যাচ্ছে না।
সভায় মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে পরাজিত হতে দেব না, শত গুলি-ষড়যন্ত্র আমাদের থামাতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড এবং প্রথম আলোতে হামলার কারণে হাসিনাই সবচেয়ে খুশি হয়েছে।’
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘স্মরণকালের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী তরুণ ওসমান হাদির মৃত্যু আমাদের চরমভাবে ব্যথিত করেছে। কিন্তু কোথাও হামলা করা বা আগুন দেওয়া আধিপত্যবাদীদের শক্তি জোগাবে। আগরতলায় আমাদের হাইকমিশনে হামলা যেমন নিন্দনীয়, তেমনি এখানে ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার হুমকিও গ্রহণযোগ্য নয়।’
জুমার নামাজের পর এবি পার্টির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব-শাহবাগ-শহীদ মিনার ঘুরে আবার পল্টনে এসে শেষ হয়।