রিজার্ভ আর সরকারের পতন কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না: এবি পার্টি

অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, আমদানি-রপ্তানির নামে ডলার পাচার ও উচ্চ দ্রব্যমূল্যে জনগণের চরম ভোগান্তির প্রতিবাদে এবি পার্টি সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে
ছবি: এবি পার্টির সৌজন্যে

গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত না করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এবং ‘ডামি’ সরকারের পতন কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না বলে মনে করছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।

আজ বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের নেতারা এসব কথা বলেন। দলটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, আমদানি-রপ্তানির নামে ডলার পাচার ও উচ্চ দ্রব্যমূল্যে জনগণের চরম ভোগান্তির প্রতিবাদ জানাতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

আয়োজনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো জবর দখল করে দলীয় লোকজনের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল জনগণের আমানত যেনতেনভাবে নিজেদের পকেটে ঢোকানো। তিনি আরও বলেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে। রিজার্ভশূন্য হতে চলেছে। দেশ আজ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার চোরাবালিতে আটকে গেছে।

এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে সরকারদলীয় লোকজন ও কিছু আমলা। দেশের সব অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের মূল কারণ হচ্ছে বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় বসে থাকা। রিজার্ভের পতন ও ডলারের দরপতনের সঙ্গে সঙ্গে এই ডামি সরকারের পতনও অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব ও দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল প্রমুখ।