প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মে জড়িত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা জানান।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের চিত্র দেখে ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি।
পরে গত বছরের ডিসেম্বরে অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে ১৩৪ জনকে দায়ী করে বিভিন্ন শাস্তির সুপারিশ করা হয়। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল ইসি। সুপারিশ অনুযায়ী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো কি না, এক মাসের মধ্যে তা কমিশনকে জানাতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আজ সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, তাঁরা যে চিঠিগুলো দিয়েছিলেন, তার মধ্যে ৪০টির মতো জবাব পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ব্যবস্থা নিচ্ছে। অনেকের কাছ থেকে জবাব পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়বার তাঁদের চিঠি দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা ও ওই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে গাইবান্ধা থেকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে পরিচালক করা হয়েছে। তাহলে কি ইসি নিজেদের সুপারিশ নিজেরাই বাস্তবায়ন করছে না?—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘যেই দায়িত্বে তিনি (রিটার্নিং কর্মকর্তা) ব্যর্থ হয়েছেন, সেই দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে বা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা প্রমোশন নয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্যাট ইজ গুড এনাফ। এটাই হচ্ছে প্রচলিত নিয়ম, তাঁকে তাঁর দায়িত্ব থেকে তুলে নিয়ে আসা।’