দ্বিতীয় মেয়াদে ময়মনসিংহের মেয়র নির্বাচিত ইকরামুল হক

আওয়ামী লীগ নেতা ইকরামুল হক দ্বিতীয় দফায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আজ রোববার রাতে ময়মনসিংহ শহরের কালীবাড়ী এলাকায়ছবি: দীপু মালাকার

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক (টিটু)। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১২৮টির কেন্দ্রের সব কটির ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট।

টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে এই ফল ঘোষণা করেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। বেসরকারি ফলাফলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান। হাতি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট।

এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেসামুল আলম (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক (হরিণ) পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ ভোট। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। ২০১৯ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন ইকরামুল হক। এবার নিজ দলের একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয় ইকরামুলকে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ আর পুরুষ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২ জন। হিজড়া ভোটার ৯ জন। নির্বাচনে ভোটের হার ৫৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। এবার ১২৮টি কেন্দ্রের সব কটিতেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড। মেয়র পদে ৫ জন ছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন প্রার্থী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ থেকে ৬ জন। সর্বোচ্চ ৮ জন প্রার্থী ছিলেন ৩টি ওয়ার্ডে। ফলে ময়মনসিংহে ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।