মাহবুব উদ্দিন খোকনকে বিএনপির আইনজীবীফোরামের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনফাইল ছবি

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিএনপি–সমর্থক আইনজীবীদের এই সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একাধিক নেতা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফোরামের এই নেতারা জানিয়েছেন, মাহবুব উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ফোরামের নেতৃত্বের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর সেই চিঠি নিয়ে ফোরামের নেতারা বৈঠক করেছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এসব আলোচনায় মাহবুব উদ্দিনের দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ফোরাম থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়েছিল ২১ এপ্রিল।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাহবুব উদ্দিনকে অব্যাহতি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ওই ফোরাম থেকে তাঁকে দায়িত্ব না নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। কারণ, বিএনপি–সমর্থিত এই ফোরাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে নতুন নির্বাচনের দাবি করেছিল। এরপরও মাহবুব উদ্দিন আইনজীবী সমিতির দায়িত্ব নেওয়ায় তাঁকে অব্যাহতি দেয় ফোরাম। এ নিয়ে বিএনপি–সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এখন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সেই অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নিল।

গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, মারধর, মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে।

বিএনপিপন্থী আইনজীবী ফোরাম ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফলের অভিযোগ করে। এ ঘটনায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আসামি করে মামলা হয়, গ্রেপ্তারও করা হয়।

এ পরিস্থিতিতে বিজয়ী সভাপতি পদ ছাড়া আরও তিন সদস্যকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমিতির এ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ না করার আহ্বান জানায়। কিন্তু মাহবুব উদ্দিন দায়িত্ব নেন। এ ছাড়া তিনি ফোরামের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এ ফোরাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এখন অব্যাহতি প্রত্যাহার করায় তিনি আবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতির পদে ফিরলেন।