গণভোটকে নির্বাচনের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার, অভিযোগ তাহেরের
অন্তর্বর্তী সরকার চালাকি করে গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
সরকারের উদ্দেশে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জনগণের দাবি আগে গণভোট। ওনারা একটা চালাকি করছে। আমি চালাকি শব্দটা বলছি। চালাকি বোধ হয় অত খারাপ না। যে করব, করছি, এই-সেই করতে করতে এটাকে জাতীয় নির্বাচনের ডেটের (তারিখ) কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তখন বলবে আর তো সময় নেই। আমি এক বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করেছি। তিনি বলেছেন, তফসিল ঘোষণা হলেও জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আলাদা হতে কোনো আইনগত বাধা নেই। সুতরাং, ঠেলেঠুলে কত দূর নেবেন। তারপরও গণভোট করার সময় থাকবে এবং গণভোটের পরই জাতীয় নির্বাচন হবে ইনশা আল্লাহ।’
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এ সভার আয়োজন করে।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল চায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজন হোক। কিন্তু জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক আটটি দল নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছে।
আলোচনা সভায় বিএনপিকে উদ্দেশ করে মুহাম্মদ তাহের বলেন, যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় না, তারা কেন চায় না, সেটি জামায়াত জানে। ডাকসু নির্বাচনের পরে তারা আর কোনো নির্বাচন মানতে পারেনি। আর কোনো ‘টেস্ট কেসে’ তারা যেতে চায় না। কারণ, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হলে ৮০ শতাংশ লোক সংস্কারের পক্ষে ভোট দেবে।
তাহের বলেন, জামায়াত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। তার আগে গণভোট চায়। জনগণ গণভোটে ‘না’–এর পক্ষে ভোট দিলে জামায়াত সেটি মেনে নেবে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, অনেকে এখন বলে, আজকের বিএনপি জিয়াউর রহমানের বিএনপি নয়। জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর বিএনপি বড় দল ছিল। তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া যখন সক্রিয়ভাবে এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন, তখনো বিএনপি অনেক জনপ্রিয় দল ছিল। এখনো বিএনপি অনেক বড় দল। কিন্তু জিয়াউর রহমান বা খালেদা জিয়ার সময়ের মতো জনপ্রিয় কি না, প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ।