সমাবেশের তারিখ বদলাল বিএনপির তিন সংগঠন

আজ বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠনের নেতারা তাঁদের আগের নির্ধারিত সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।

‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করতে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল ছয় বিভাগীয় শহরে ছয় দিনের যে কর্মসূচি দিয়েছিল, একই দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচি দেওয়ায় ‘হতবাক’ হয়েছে বিএনপির তিন সংগঠন।

সংগঠন তিনটির নেতারা বলেছেন, ‘আমাদের কর্মসূচি প্রণয়নের দুই দিন পর একই তারিখে, একই স্থানে আওয়ামী যুবলীগের এই কর্মসূচিকে উসকানিমূলক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস বলে মনে করি।’
এ অবস্থায় সংগঠন তিনটি তাদের ঘোষিত তারুণ্যের সমাবেশ কর্মসূচির তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেছে।

আজ বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠনের পক্ষে যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন তাদের আগের নির্ধারিত সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।

এখন কর্মসূচির নতুন তারিখ অনুযায়ী, ১৪ জুন বুধবার চট্টগ্রামে, ১৯ জুন বগুড়ায়, ২৪ জুন বরিশালে, আগামী ৯ জুলাই সিলেটে, ১৭ জুলাই খুলনায় এবং ২২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপির তিনটি সংগঠন। প্রসঙ্গত, ১১ জুন চট্টগ্রামে প্রথম তারুণ্যের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

পুনর্নির্ধারিত তারিখেও সরকারি দলের কোনো সংগঠন পাল্টা কর্মসূচি দিলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে যুবদলের সভাপতি বলেন, ‘আমরা আশা করি, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’

‘শুভবুদ্ধির উদয় না হলে কী করবেন’—   সাংবাদিকেরা পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন। এর জবাবে সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সমাবেশ করব।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমাদের নির্ধারিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির বিপরীতে যুবলীগ একই সময়ে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। তাদের এই কর্মসূচিকে আমরা নৈরাজ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের অবৈধ শাসনামলকে দীর্ঘস্থায়ী করার ঘৃণ্য অপপ্রয়াস বলে মনে করি।’

কর্মসূচি ঘোষণা করে যুবদলের সভাপতি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এক যুগেরও অধিক সময় যে তরুণ সমাজ ভোট দিতে পারছে না, সেই কোটি কোটি ভোটার ও তরুণ সমাজ আমাদের সমাবেশ সফল করবে ইনশা আল্লাহ।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাক হোসেন প্রমুখ।