অর্থনীতির চলমান সংকটের সুরাহায় ব্যবস্থা না নিলে পরিণতি ভয়াবহ

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। ঢাকা, ২ জুনছবি: সংগৃহীত

আগামী বাজেট দেশে বৈষম্য আরও বাড়াবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা। তাঁরা বলেছেন, বর্তমানে দেশের সব ক্ষেত্রে আকাশচুম্বী বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এবারের বাজেট বৈষম্য বৃদ্ধির ধারাকে আরও এগিয়ে নেবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিবির নেতারা এসব কথা বলেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিবি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অর্থনীতির অধ্যাপক এম এম আকাশ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহীন রহমান, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, কোষাধ্যক্ষ ফজলুর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি নেতারা বলেন, ধনী গোষ্ঠী দেশের বাইরে অর্থ পাচার করায় ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে অসৎ আমলা, অসৎ ব্যবসায়ী ও অসৎ রাজনীতিবিদ রয়েছেন।

মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে প্রবৃদ্ধির গতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী। বিদেশে টাকা পাচারের প্রবণতায় খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। বৈদেশিক দেনা বাড়ছে এবং ঋণ পরিশোধের তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক বৈষম্য, নারী-পুরুষের বৈষম্য বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনে অনেক এলাকায়, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে জানমালের ও সুপেয় পানির ঝুঁকি বাড়ছে। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। বর্তমান যে সংকট তৈরি হয়েছে, এ বিষয়ে এখনই জরুরিভাবে ব্যবস্থা না নিতে পারলে পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের ধারার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বাজেট প্রণয়নের দাবি জানিয়ে সিপিবি বলেছে, অতীতের গণবিরোধী ধারায় বর্তমান সরকার এটিকে (মুক্তিযুদ্ধের ধারার বাজেট) উপেক্ষা করে পুঁজিবাদী তথা নয়া উদারনীতি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মোড়কে গত বছরের বাজেট উপস্থাপন করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।