ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের জন্য ১০ দফা নির্দেশনা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়। ছিনতাইয়ের মামলায় ওই দুই নেতা এখন কারাগারে। এদিকে সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক ছাত্রীকে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীদের জন্য ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সংগঠনটি।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’ হিসেবে পরিণত করতে ছাত্রলীগের কর্মীদের জন্য অবশ্য পালনীয় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নির্দেশনাগুলো হলো:

১. সাংগঠনিক কর্মসূচি ও নির্দেশনার বাইরে ব্যক্তিগত ও দলবদ্ধভাবে যেকোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকা।

২. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোতে শতভাগ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হতে হবে। পরিবেশ নষ্ট হতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না হওয়া।

৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর দেশের শিক্ষা উন্নয়ন ও গবেষণা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও শিল্পচর্চার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। এ রকম প্রতিটি উদ্যোগ-আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে ছাত্রলীগের কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভূমিকা রাখা।

৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ নির্মল-মনোরম রাখতে সব ধরনের ব্যক্তিগত ব্যানার, ফেস্টুন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।

৫. মোটর বাইক শোডাউন, উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, সাউন্ড সিস্টেমের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার না করা।

৬. আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ উন্নতকরণে সুশৃঙ্খল আবাসন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখা।

৭. বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডলে ক্রিয়াশীল অপরাপর প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বাস কমিটি প্রভৃতির সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক ও সদ্ভাব বজায় রাখা।

৮. গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক বন্ধুদের দায়িত্ব পালনে সব সময় সহযোগিতা করা।

আরও পড়ুন

৯. ধর্মীয় উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানো, অপরাধমূলক প্রবণতা, মাদকসংশ্লিষ্টতার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করা।

১০. সাংগঠনিক শৃঙ্খলাপরিপন্থী, নিরাপত্তা বিঘ্নকারী, বেআইনি, ইভ টিজিং, র‍্যাগিং ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না হওয়া।

আরও পড়ুন