নারীদের ভিড়, পুরুষদের লাইন ফাঁকা

ভোট দিতে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন নারীরা। দুটি কক্ষে তাঁরা বিরামহীনভাবে ভোট দিয়ে ঘরে ফিরছেন। আর পুরুষ ভোটারদের কক্ষের সামনে অপেক্ষমাণ কেউ নেই। যিনিই আসছেন, ভোট দিয়ে ফিরে যেতে পারছেন।

এমন চিত্র খুলনা নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারি কলোনি এলাকায় সেন্ট জেভিয়ার্স হাইস্কুল ডাবল শিফট (মূল ভবন) ভোটকেন্দ্রের।

এই কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটারদের জন্য দুটি করে কক্ষ রাখা হয়েছে। ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৩২৭। ভোট শুরুর পর আড়াই ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ১৬৭ জন। ভোটের হার সাড়ে ১৩।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এখন ভোটার সংখ্যা বাড়ছে। তবে সকালে ছিল না।

সরেজমিন দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক চারটি সারি করা হয়েছে। নারীদের দুই সারিতে ভোটাররা অপেক্ষা করলেও পুরুষদের সারিতে কেউ নেই। এই কেন্দ্রে বয়স্ক নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এসব নারী ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রটির তিন নম্বর ভোটকক্ষে প্রবেশের পর বিড়ম্ভনার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। ওই কক্ষে প্রবেশের পর সেখানে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বলছিলেন, ‘স্যার, আমাকে গোপন কক্ষে গিয়ে কীভাবে ভোট দিতে হয়, তা দেখিয়ে দিতে হচ্ছে। বারবার গোপন কক্ষে যেতে হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা আছে তো। অস্বস্তি লাগছে।’

তখন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বলেন, ‘কষ্ট করে যেহেতু ভোট দিতে এসেছেন, তাঁদের একটু সহযোগিতা করো। তবে নিজে আবার ভোট দিয়ো না।’

এই কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ফেরার পথে দেখা হয় আছিয়া বেগমের সঙ্গে।‌ আছিয়ার বয়স ৮৫ বলে জানালেন তাঁর ছেলের স্ত্রী লাইলি বেগম। লাইলি বেগম তাঁর শাশুড়িকে রিকশায় করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন।

ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে আছিয়া বেগম বলেন, বয়স হয়েছে। এখন সব ভালোভাবে বোঝেন না। ছেলেবউয়ের সহযোগিতায় তিনি পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।