তারেক রহমান ভোটার হবেন ২৭ ডিসেম্বর

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানফাইল ছবি

দেশে ফেরার দুদিন পর ভোটার তালিকায় নিজের নাম ওঠানোর পদক্ষেপ নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

১৭ বছর পর ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। এরপর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়া সংক্রান্ত সব কাজ করবেন।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ তথ্য জানান।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় সংশোধনের বিষয়ে সিইসির সঙ্গে কথা বলে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। শনিবার তিনি ভোটার হওয়া সংক্রান্ত সব কাজ করবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে
ছবি: প্রথম আলো

এক-এগারো-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান কারামুক্ত হয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। বিদেশে থাকায় তখন ভোটার তালিকায় তিনি অন্তর্ভুক্ত হননি। এর পরপর আওয়ামী লীগের শাসনকালে তিনি দেশে আসেননি, ভোটারও হননি।

গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।

ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটার তালিকা আইনে বলা আছে, ইসি যেকোনো সময় ভোটার হওয়ার যোগ্য যেকোনো ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

তারেক রহমান কোথায় ভোটার হতে চাইছেন, তা বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন

লন্ডন থেকে ফিরে তিনি থাকবেন গুলশানে মা খালেদা জিয়ার বাসার কাছের একটি বাড়িতে। আগামী নির্বাচনে তিনি পৈতৃক এলাকা বগুড়ার সদর (বগুড়া–৬) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাঁর পক্ষে স্থানীয় নেতারা ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

লন্ডনে যাওয়ার পর তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদও ফুরিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তিনি পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। তাই তিনি সরকারের কাছ থেকে ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরতে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন