একের পর এক ব্যাংক লুট হয়ে ধসে গেছে ব্যাংক খাত, অভিযোগ রিজভীর

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীছবি: ফাইল ছবি

একের পর এক ব্যাংক লুট হয়ে আজকে ব্যাংক খাত ধসে গেছে, এই অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এই সরকার তাদের মন্ত্রী-এমপিদের নামে নতুন নতুন যে ব্যাংক দিয়েছে, সেগুলো তারা লোপাট করে ফেলেছে। এখন সরকার ভালো ভালো ব্যাংকের সঙ্গে ওই সব ব্যাংককে মিশিয়ে দিতে চাইছে। এভাবে তারা জনগণের টাকা পাচার করে দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ শেষে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী।

বক্তৃতায় রুহুল কবির রিজভী বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর কী হচ্ছে, এটা বাংলাদেশের মানুষকে জানতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সাংবাদিকদের ওপর, যাতে তাঁরা ওই ব্যাংকের ভেতর ঢুকে কোনো খবর জানতে না পারেন।

রিজভী বলেন, একজন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাংকের ভেতরে একটা বড় ধরনের নাশকতা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোড হ্যাক করে টাকা পাচার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এর কোনো উত্তর নেই। এর কোনো জবাব দিতে পারে না সরকার।

প্রসঙ্গত, ভারতের একটি অনলাইনে সম্প্রতি প্রকাশিত রিজার্ভ চুরিসংক্রান্ত প্রতিবেদনের সত্যতা নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, নিউইয়র্ক ফেডের সঙ্গে লেনদেনে নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে বর্তমানে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নীতি চালু রয়েছে। এর ফলে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা ভুয়া (ফেক)।

বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, ‘দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ৩৯৩টি বিলাসবহুল বাড়ির যে খবর প্রকাশ হয়েছে, সেগুলোর মালিক বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠজনেরা।’

‘এই নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে ভুয়া’

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা এ নির্বাচন করছে। এই নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে ভুয়া, জালিয়াতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে জনগণের কোনো ভূমিকা নেই। এই নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে জনগণকে প্রতারণা করার নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে একজন (আওয়ামী লীগের এক নেতা) বলেছেন, কেউ যদি আমার প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট দেয়, তাকে এলাকায় থাকতে দেব না। কারও হাত-পা ভেঙে দেব, এ ধরনের কথা তারা উপজেলা নির্বাচনে বলছে।’

রিজভী দাবি করেন, ডামি ভোটে নির্বাচিত সরকার হলো দখলদার সরকার। তাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। জনগণের ভোটের কোনো দরকার হয় না তাদের। এখানে উপজেলা নির্বাচনও শুধু একটা আনুষ্ঠানিকতা। সুতরাং এ নির্বাচন বর্জন করুন।

এ সময় রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ–অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, ছাত্রদলের তারেক উজ জামান, এজমল হোসেন, হুমায়ুন কবির, তৌহিদুর রহমান, সাদেক আহসান প্রমুখ।