রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আজ শুক্রবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চলমান আন্দোলনে নিহত হওয়া বিএনপি নেতাদের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অর্পণ বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের চোখের ভাষা দেখতে পাই। তাদের আকুতি দেখতে পাই। তাদের যে দৃঢ়তা, তা দেখতে পাই। এসব দেখে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত হচ্ছি, সাহস পাচ্ছি। বিশ্বাস করি, অতি শিগগির বাংলাদেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই লড়াইয়ে বিজয়ী হব।’

মানুষের অধিকার ফিরে ফেতে লড়াই শুরু করেছেন জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটা আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। আমরা লড়াই শুরু করেছি মানুষ যাতে তার অধিকার পায়, ন্যায়বিচার পায় এবং সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।’

সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছিলেন আমাদের আইনজীবীরা। তিনি বলেছেন, “আমার যদি কিছু করার থাকে তাহলে আমি করব।” কোথায় যাব আমরা! কার কাছে যাব! এ দেশের মানুষ কোথায় যাবে। ওনার এলাকায়, ওনার প্রাঙ্গণ, উনি সেখানে সর্বময় ক্ষমতায় অধিকারী, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা স্বাধীন একটা প্রতিষ্ঠান। তার প্রধান বলেছেন “আমার যদি কিছু করার থাকে করব।” উনি জানলেন না পুলিশ সেখানে কীভাবে ঢুকল। কার নির্দেশে ঢুকল। সেখানে ঢুকে পিটিয়ে আবার তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা করল। আমরা যাব কোথায়?’

অর্পণ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিথীকা বিনতে হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।