গণ–অভ্যুত্থানে হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৭ সংগঠনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মতবিনিময়

গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাতটি ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বামপন্থী সাতটি ছাত্রসংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গেও মতবিনিময় করবে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাত সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতারা। এই জোটে থাকা সংগঠনগুলো হলো ছাত্র ইউনিয়ন (রাগীব নাঈম), সমাজাতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র ফেডারেশন (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল), বিপ্লবী ছাত্র–যুব আন্দোলন ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ)।

গতকাল এই ছাত্রজোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি আন্দোলন) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ, ছাত্রলীগ (বিসিএল) সভাপতি গৌতম শীল, ছাত্রলীগ (জেএসডি) সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচা, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আহমেদ ইসহাক ও ছাত্র ইউনিয়নের (মাহির শাহরিয়ার) সদস্য রাসেল আহমেদ।

গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের পক্ষে অংশ নেন জোটের সমন্বয়ক ও ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাগীব নাঈম, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংকন চাকমা ও বিপ্লবী ছাত্র–যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া।

ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গেও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে বলে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। এতে বলা হয়, গতকালের মতবিনিময় সভায় জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস–উসকানি ও বিভাজন বন্ধ এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান। একই সঙ্গে আগামী দিনের ছাত্র আন্দোলনের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়ে একমত পোষণ করেন তাঁরা।