জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর, কাঠামোগত পরিবর্তনের বিশাল আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্রমে কমে আসছে। তবু এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকদের বক্তব্যে এমন মত উঠে আসে। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের কেউ কেউ বলেন, গণতন্ত্র মানেই নির্বাচনী গণতন্ত্র নয়। নাগরিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্রের টেকসই রূপান্তর হবে না। তাই প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র ও নির্বাচনী গণতন্ত্রের সম্মিলন ঘটাতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আলোচনার শুরুতে বলেন, এখানে তাঁর বক্তব্য ব্যক্তিগত। এ বক্তব্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বা সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে নয়।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ মুহূর্তে গণতান্ত্রিক উত্তরণে দুটি করণীয় দেখছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আসল কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড় করানো, কার্যকর করা। দ্বিতীয় হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সম্মিলিত শক্তির একটা সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা। এটা এখনকার যেসব রাজনৈতিক শক্তি আছে, তাদের মাধ্যমে করার সম্ভাবনা আমি প্রায় দেখি না।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রীয়াজ মনে করেন, এখন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করা না হলে ভবিষ্যতে একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। তাঁর মতে, প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণ করা হলে তা অকস্মাৎ সমাধান দেবে না, কিন্তু একটা সম্ভাবনা তৈরি করবে।
আলী রীয়াজ বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে ঠেকা কাজ চলছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে খানিকটা হলেও ঠিকঠাক করতে হবে। রাজনীতিবিদদের যদি একমত করানো যায়, তাহলে সেটা কিছুটা হবে। বাকিটা দীর্ঘ মেয়াদে একটা রাজনৈতিক শক্তির উত্থান প্রয়োজন। যে শক্তির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের একটা দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। সেটা না হলে ঘুরেফিরে আবার ৭ থেকে ১০ বছর পর এ সংকট দেখা দেবে।
সত্যিকার গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটানোর জন্য আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালন করা বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা চরমভাবে দুর্বৃত্তদের কবলে পড়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গন চরমভাবে দুর্বৃত্তায়িত। এ ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছে টাকার খেলা। তিনি মনে করেন, ‘এক দিনের গণতন্ত্রের’ জন্যও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দুর্বৃত্তমুক্ত করতে হবে। এ জন্য কতগুলো সুদূরপ্রসারী সংস্কার করতে হবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের একটি পথ নাগরিক সমাজ। নাগরিক সমাজকে সোচ্চার ও সংগঠিত করতে হবে।
আসল কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড় করানো, কার্যকর করা। দ্বিতীয় হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সম্মিলিত শক্তির একটা সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা।
দুই পক্ষের ঐক্য কীভাবে সম্ভব
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
আনু মুহাম্মদ বলেন, এখন কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে। আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ।
আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশে শ্রেণি, লিঙ্গ, ধর্মীয়, জাতিগত বৈষম্য আছে। গণতন্ত্রের পথে এগোতে হলে এ বৈষম্যের বিষয়গুলো সামনে আনতে হবে। তিনি বলেন, কোন পথে গণতন্ত্র আসতে পারে, সেটা নিয়ে এখন যে আলোচনা-বিতর্ক হচ্ছে, সেখানে মাঝেমধ্যে ডান, বাম, মধ্যপন্থী, ইসলামপন্থী, সেক্যুলার—এ কথাগুলো শোনা যায়। একজন বৈষম্যের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে, আরেকজন বৈষম্য কমাতে চাইছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এ দুই পক্ষের মধ্যে ঐক্য কীভাবে সম্ভব।
গণতান্ত্রিক শক্তির সম্প্রসারণ করতে হবে উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের একটা স্বপ্ন বা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। বৈষম্যহীন পথে যাওয়ার পথ ও পদ্ধতির সঙ্গে একমত হয়ে যারা কাজ করতে চেষ্টা করবে, তারাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক শক্তি।
নির্বাচনী গণতন্ত্রের বাইরেও চিন্তা করতে হবে
সূচনা বক্তব্যে বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন বলেন, একটি অভূতপূর্ব সুযোগ এসেছে। তবে সে সুযোগ ক্রমে সরু হয়ে আসছে। এখন যে সময় আছে, সে সময়ের মধ্যে অনেক দূরে যেতে হবে এবং দ্রুততার সঙ্গে যেতে হবে।
ইমরান মতিন মনে করেন, নির্বাচনী গণতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই নির্বাচনী গণতন্ত্রের বাইরেও চিন্তা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি কাউন্টারভ্যালিং সিটিজেন পাওয়ার (পাল্টা নাগরিক শক্তি) তৈরি করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সংস্কারটা শুধু রাষ্ট্রের বিষয় নয়, এটি হলো মূলত রাষ্ট্র ও সমাজের সম্পর্ক। এ সম্পর্কের রূপান্তর ঘটাতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় ধারণাপত্র তুলে ধরেন বিআইজিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক মির্জা এম হাসান। তিনি মনে করেন, প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের স্বর্গরাজ্যে পৌঁছানো গেলেও খুব বেশি লাভ হবে না। এ ব্যবস্থায় গোষ্ঠীতন্ত্র তৈরি হবে। এ গোষ্ঠীতন্ত্রের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব তৈরি হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের বাইরেও অনেক বিকল্প আছে।
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র (জনগণ সরাসরিভাবে নীতিনির্ধারণ ও আইন প্রণয়নে অংশ নেয়), ডেলিভারেটিভ ডেমোক্রেসি (এমন ব্যবস্থা যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের বিতর্ককে গুরুত্ব দেওয়া হয়), পপুলার অ্যাসেম্বলি—এ ধরনের কিছু বিকল্প পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে মির্জা হাসান বলেন, যখন এ পদ্ধতিগুলোকে এক জায়গায় আনা সম্ভব হবে, তখন টেকসই গণতন্ত্র পাওয়া যাবে। এখন একটা সাধারণ ধারণা তৈরি হয়েছে যে নির্বাচন মানেই গণতন্ত্র। এ সাধারণ ধারণা থেকে বের হতে হবে, না হলে মুক্তি আসবে না।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গণতন্ত্রের একটি সম্মিলন প্রয়োজন বলে মনে করেন মির্জা হাসান। তিনি বলেন, সিটিজেন রিপ্রেজেন্টিটিভ (নাগরিক প্রতিনিধিত্ব) প্রয়োজন, রিপ্রেজেন্টিটিভ অব সিটিজেন (নাগরিকের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব) নয়। নাগরিক রাষ্ট্রের ভেতরে ঢুকে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেবে।
মির্জা হাসান বলেন, তিনি যে প্রক্রিয়ার কথা বলছেন, তা নিয়ে অনেকে অনেক সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন এবং মনে করেন যে এটা বাস্তবসম্মত নয়। কিন্তু লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশে এ চর্চা হচ্ছে। সফল হচ্ছে, ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক জায়গায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশকেও এ প্রক্রিয়ায় ঢুকতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান বলেন, শুধু সংবিধান বা আইনগুলো পরিবর্তন করলে হবে না। দেখতে হবে, এগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনগুলো আছে কি না। এ সংগঠনগুলো তৈরি করা না গেলে আইনের পরিবর্তন হলেও সেখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হবে না।
আসিফ সাহান বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বা জবাবদিহি করার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে কাজ করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন, রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবমুক্ত হতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জনগণের সম্পর্কটা কোথায় তা দেখতে হবে।
আশাবাদী থাকতে হবে
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতান বলেন, অভ্যুত্থানের পর তিনি মনে করেছিলেন বিশাল একটি সুযোগ এসেছে। কাঠামোগত পরিবর্তন হবে। নতুন করে রাষ্ট্র ও সমাজকে দেখা হবে। তিনি বলেন, নারীদের নাগরিক মর্যাদাটাই দেওয়া হয় না। তিনি সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হলে সেখানে নারী প্রতিনিধিত্বসহ বিভিন্ন শেণির প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত বলে মনে করেন।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। অনেক কমিশন অনেক সময় স্বাধীনভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে না। এটা গণতন্ত্রচর্চায় চ্যালেঞ্জ। জনগণকে ক্ষমতায়িত না করে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বাক্স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা তা বলা নয়। এখন বাক্স্বাধীনতার নামে, বিশেষ করে অনলাইন মাধ্যমে হেনস্তা করা হচ্ছে, ‘মব’ করা হচ্ছে।
শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, আমরা শোভন কাজের সঙ্গে ‘মর্যাদাপূর্ণ’ শব্দ যুক্ত করেছি। ‘মহিলা’র পরিবর্তে ‘নারী’ শব্দ ব্যবহার এবং ‘আদিবাসী’র পরিবর্তে ‘বহুজাতি’ শব্দ যুক্ত করেছি।
দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত ত্রিপুরা বলেন, সমাজের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ছাড়া রাষ্ট্রের রূপান্তর হবে না। বর্তমান সময়ের অবস্থাকে ‘পেন্ডুলামের’ সঙ্গে তুলনা করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, কোন মেয়াদে রূপান্তর হবে, যে সময় আছে তাকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, এভাবে চিন্তা না করে একটু একটু করে এগোতে হবে।
পুরো জাতি এখনো গণতন্ত্রের জন্য আসলে ‘ফিট’ কি না—এমন প্রশ্ন রেখে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ৫৪ বছরে যেটা অর্জন করা যায়নি, মাত্র ১৪ মাসে সেটা অর্জন করতে চাওয়া বাস্তবসম্মত হবে না। ধাপে ধাপে অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর স্বাধীনতার কথা বলা হয়। কিন্তু নিকট অতীতে এসব সংস্থাকে স্বাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেখা যায়নি। এ অবস্থার পরিবর্তনে তিনি সাংবিধানিক সংস্থাগুলোতে নিয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তন আনা যায় কি না, তা দেখার পরামর্শ দেন।
গোলটেবিল আলোচনার শেষ পর্যায়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে। খুব দ্রুত পরিবর্তন আশা করা হয়তো ঠিক হবে না, কিন্তু আশাবাদী থাকতে হবে। কারণ, এই রাষ্ট্র, সমাজ সবার। তাই ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে।
গণতন্ত্রের পথে নাগরিক সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মতিউর রহমান তাঁর ষাটের দশকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ষাটের দশকের নাগরিকদের ভূমিকা অনেক বড় ছিল। ছাত্র, শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিদের ঐক্য, অল্প আকারে হলেও শ্রমিকদের ঐক্য, কৃষকদের ঐক্য ছিল। বিভিন্ন ক্ষেত্রের কথা তুলে ধরতে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন নাগরিক আন্দোলন বা সংগঠনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী।