অভিমত: মজিবুর রহমান মঞ্জু
সরকারের সিদ্ধান্ত না মানলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠবে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাত দিনের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা চেয়েছিল। আজ সোমবার সে সময়সীমা শেষ হচ্ছে। কিন্তু কোনো ঐকমত্য হয়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর অভিমত।
কিছু মৌলিক বিষয় ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বিষয়েই একমত ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের জায়গায় এসে নিজেদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের এখন করণীয় হলো সবদিক বিবেচনা করে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া। সরকার হয়তো শেষ মুহূর্তে বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে একান্তে আরেকবার কথা বলে দেখতে পারে। অহংবোধে ভোগা দলগুলো যদি শেষ পর্যন্ত সরকারের চূড়ান্ত ফয়সালা না মানে, তাহলে সরকারের উচিত হবে পদত্যাগ করে দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য কাউকে ক্ষমতা অর্পণ করার প্রস্তাব দেওয়া।
রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনায় না বসে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। এটা নিছক পুরোনো ধাঁচের রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। দলগুলো যখন একান্তে মিলিত হয়, তখন একে অপরের প্রতি যথেষ্ট হৃদ্যতাপূর্ণ সহমর্মী আচরণ করে। কিন্তু যখন মিডিয়ার সামনে বা টক শোতে কথা বলে, তখন খোঁচা দিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এটা হলো মিডিয়ার আলোচনায় থাকার একটা অপকৌশল। মিডিয়াগুলোও এ ক্ষেত্রে নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য সাইডলাইনের কথাগুলোকে মূল আলোচনায় নিয়ে আসে। এটা সমাজ ও রাজনীতির সামগ্রিক কদর্য রূপ, যা থেকে সবার মুক্ত হওয়া একান্ত আবশ্যক।
এখন বল যেহেতু সরকারের কোর্টে, সরকার যদি নিজেরা সিদ্ধান্ত দেয় এবং সেটি কোনো রাজনৈতিক দল মানল আবার কোনো দল মানল না; তাহলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়ে পড়তে পারে, যা নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তাসহ দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। এটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে শঙ্কার মধ্যে ফেলতে পারে। নির্বাচন শঙ্কার মধ্যে পড়লে কিন্তু সবার জন্যই বিপদ। তবে শেষ মুহূর্তে হলেও সবার মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে, এমনটাই কাম্য।
মজিবুর রহমান মঞ্জু: চেয়ারম্যান, এবি পার্টি