সংগঠন ছাড়া ফ্যাসিবাদীদের মোকাবিলা করা যাবে না: বদরুদ্দীন উমর
ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিরোধে সব জায়গায় শ্রমজীবী জনগণের সংগঠন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর। তিনি বলেন, ‘শাসক শ্রেণির সংকটের পাশাপাশি জনগণের সংগঠনেরও সংকট রয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম বেগবান করতে হলে শ্রমজীবী জনগণের সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। সংগঠন ছাড়া ফ্যাসিবাদীদের মোকাবিলা করা যাবে না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ফ্যাসিবাদী শাসন, বাজারি শোষণ, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে’ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘বাংলাদেশের শাসক শ্রেণির সংকটের শুরু ১৯৭২ সাল থেকে। সে সময় ঘুষ, দুর্নীতি, চোরাকারবারি, লুণ্ঠন ও দখলের মাধ্যমে এই শাসক শ্রেণির জন্ম ও বিকাশ। আওয়ামী লীগ এই শ্রেণির প্রতিনিধি। জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে তারা ১৯৭৫ সালে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। চারটি দৈনিক রেখে অন্য সব সংবাদপত্র বাতিল করে। এভাবে আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সরকার উৎখাত হয়। দেশে কায়েম হয় সামরিক শাসন।’
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার উচ্ছেদের সংগ্রাম গড়ে তুলতে শ্রমিক-কৃষক, নিপীড়িত জাতি ও জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গণ-আন্দোলনকে গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত করা ছাড়া পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘বাঙলাদেশ লেখক শিবির’–এর সভাপতি হাসিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ওয়ার্কার্স ফ্রন্টের সহসাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমীর আব্বাস। সমাবেশ থেকে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার সংগ্রাম গড়ে তুলতে ১৮ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ মাসব্যাপী প্রচার ও জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষে হয় মিছিল।