সরকার জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ: বাম জোট

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া; মব সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং এসব অপরাধে জড়িত ও মদদদাতাদের বিচারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মনে করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ জোটের নেতারা বলেছেন, খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ)—একের পর এক চলতে থাকলেও সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। সরকারের উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেওয়া।

আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বাম জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া; মব সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং এসব অপরাধে জড়িত ও মদদদাতাদের বিচারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পর একটি মিছিল বের করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

সমাবেশে বাম জোটের নেতারা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশেই আনসার ক্যাম্প থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। খুলনায় গুলি করে হত্যার পর এক ব্যক্তির পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। চাঁদপুরে মসজিদের ভেতর ইমামকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। এ রকম হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

এভাবে চলতে থাকলে মানুষ নিজেদের বাঁচার দাবিতে আবার রাজপথে নেমে আসবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বাম জোটের নেতারা। তাঁরা বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে মব তৈরি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা যেভাবে সম্মতি উৎপাদন করছেন, তা খুবই উদ্বেগজনক। এসব বক্তব্য মবকে উৎসাহিত করছে।

নিজেদের স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার বন্ধ করতে না পারলে অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলেও মনে করেন বাম জোটের নেতারা। তাঁরা বলেন, কিছুদিন আগে থানায় গিয়ে পুলিশকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নামধারীরা একজনকে গ্রেপ্তার করতে বলেন। মামলা না থাকায় পুলিশ সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেনি। পরবর্তী সময়ে থানার সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) বিবৃতি দেয় এবং ওসিকে বদলি করে দেওয়া হয়।

সিপিবির সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ।