ভোট চোর বললে আওয়ামী লীগকেই বোঝায়: খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট চোরকে ভোট দেবেন না বললে নৌকাকে ভোট দেবেন না, সেটাই বোঝায়। কারণ, কেবল এ দেশের মানুষ নয়, আওয়ামী লীগ যে ভোট চোর, তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এর মধ্যে দ্বিতীয় কথা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থার (জাসাস) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সেদিন তাদের (আওয়ামী লীগের) জাতীয় কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভোট চোরদের মানুষ পছন্দ করে না। অবশ্যই মানুষ পছন্দ করে না। আজকে ভোট চোরদের পছন্দ করে না বলেই এ দেশের সব মানুষ মাঠে নেমেছে। জনগণ আওয়াজ তুলেছে এই ব্যর্থ সরকারকে তারা আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

সংকটের মধ্য দিয়ে দেশ অতিবাহিত হচ্ছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ১৪ বছর যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, তারা নিজেরাই নিজেদের স্বৈরাচারী হিসেবে পরিচিত করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে এখন কেউ স্বীকার করে না। দেশ পরিচালিত হচ্ছে হাইব্রিড সরকার দিয়ে। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

গত নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি হয়েছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এর আগে বর্জনের জয় হয়েছিল। ১৫৩ আসন বর্জন করা হয়েছিল। তারপরও গায়ের জোরে ক্ষমতায় ছিল। আজও গায়ের জোরে ক্ষমতায় থেকে তারাই বলছে, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখন এ দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বয়। আর গণতন্ত্রে যদি এই নিয়ম হয় যে নিজের দলের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের ভোট নিজেরা দিয়ে গায়ের জোরে সরকারে থাকবে। এটা কি গণতন্ত্র। এটা গণতন্ত্র নয়।

বর্তমান সরকারের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব না, অর্থনীতি মেরামতও সম্ভব না। যারা বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা এ দেশে নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থা কায়েম করতে পারবে না। তাই জনগণ বুঝতে পেরেছে এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে না। সে জন্য দেশ থেকে সরকারের বিদায় চায় তারা।

জনগণের বার্তা একত্র করে ১০ দফা উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১০ দফা সরকারের বিদায়ের দফা। আর সরকার বিদায় হলে যারা জনগণের ভোটে সরকারে আসবে, সেই সরকারকে ভবিষ্যতে এই ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত করার জন্য ইতিমধ্যে ২৭ দফা উপস্থাপন করেছি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ। জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন জাসাসের সদস্যসচিব জাকির হোসেন।