জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত খালেদা জিয়া: বদিউল আলম মজুমদার
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত’ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। তাঁরা দুজন আজ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার হাতে আগামীকালের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্যও আলাদা আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে, যা চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে আমরা এসেছি আগামীকাল যে “জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫” স্বাক্ষরিত হবে, সেই অনুষ্ঠানের দাওয়াত পৌঁছে দিতে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সালাম পৌঁছে দিয়েছি এবং আমরা সবাই ওনার আরোগ্য কামনা করি, তিনি যেন দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠেন। তিনিও অধ্যাপক ইউনূসকে সালাম জানিয়েছেন এবং আমাদের অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা যেটা দেখেছি এবং তিনি যতটুকু বলেছেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন এবং তিনি এটাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এটা বাংলাদেশের জন্য একটা নতুন মাইলফলক এবং বাংলাদেশের জন্য একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করার ব্যাপারে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। খালেদা জিয়া অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন, সনদ স্বাক্ষরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, আমার শরীর ভালো থাকলে আমি অবশ্যই সেখানে সশরীরে যেতাম। কারণ, এ রকম একটা ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। যেহেতু তিনি হাসপাতালে, তাঁর পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না যাওয়া। তিনি এটার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তাঁর যে সমর্থন এবং তাঁর যে দোয়া, তিনি সেটা আমাদের কাছে পুনঃপ্রকাশ করেছেন।’
মনির হায়দার জানান, খালেদা জিয়া বলেছেন এই সংস্কার প্রচেষ্টার সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে তিনি এবং তাঁর দল আছে।
কোনো রাজনৈতিক দল সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে না গেলে এ আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মনির হায়দার বলেন, ‘প্রথম কথা হলো আমরা কোনো কিছু নেগেটিভ ভাবতে চাই না এবং ভাবার সে রকম কোনো অবকাশও আমরা দেখি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, এই ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হবেন এবং স্বাক্ষর করবেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা এবং আমাদের বিশ্বাস।’