শ্রমিকদেরও টার্গেট করছে বিএনপি-জামায়াত: ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেনছবি: প্রথম আলো

বিএনপি ও জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে শ্রমিকদেরও টার্গেট করছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, অপরাধী চক্রের (ক্রিমিনাল গ্যাং) সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের কোনো পার্থক্য বিএনপি-জামায়াত রাখেনি। তারা মানুষের ওপর সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছে, লাশের রাজনীতি করছে। কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের কোনো দলের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ থাকে না।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন। ‘খুনি বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসে নিহত ট্রাকশ্রমিক বেলাল হোসেনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে’ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের কোনো পার্থক্য বিএনপি রাখেনি৷ তারা মানুষের ওপর সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছে, লাশের রাজনীতি করছে। কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের কোনো দলের রাজনীতি করা আইনগত, সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক কোনো সুযোগ থাকে না৷’

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা তাদের একের পর এক তামাশা ও প্রহসন দেখতে পাচ্ছি। এই তামাশা ও প্রহসন দেখতে গিয়ে আমাদের স্বজন ও সহনাগরিকদের কেউ না কেউ প্রতিদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। সর্বশেষ তাদের হত্যাকাণ্ডের তালিকায় একজন ট্রাকশ্রমিক বেলাল হোসেন যুক্ত হলেন। বিএনপি-জামায়াত শ্রমিকদের টার্গেট করছে।’

শ্রমিকদের শ্রমকে স্তব্ধ করে দিয়ে তাঁদের লাশের ওপর ভিত্তি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাদ্দাম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিক ও কৃষকবান্ধব সরকার। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত চোরাগোপ্তা রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের জীবনকে তারা দুধভাত মনে করে।

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা যেভাবে “মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে” যুদ্ধ করেছিলাম, আজকেও আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবপ্রজন্মের যুদ্ধে একদল হায়েনার বিরুদ্ধে  রুখে দাঁড়াতে যাচ্ছি। আজকেও আমাদের লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে।’

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান বক্তব্য দেন।