এনসিপির প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামে আজ বুধবার প্রথম আলো অনলাইন ও ছাপা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
দলের মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীনের পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, বিএনপির সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহি, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের রাজনীতি। সেই লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এনসিপি প্রথম আলোকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। তারা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থী, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
বিএনপি ও এনসিপি—দুই দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই করেই প্রথম আলো প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এতে মূলত সম্ভাব্য আসন সমঝোতা প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির অনানুষ্ঠানিক আলোচনা বা যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে। আবার এনসিপি যে এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেটারও উল্লেখ আছে। প্রতিবেদনে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতার বক্তব্যও গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে।
এনসিপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো প্রস্তাব কখনো গৃহীত হয়েছে, এমনটা প্রতিবেদনে বলা হয়নি।