খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র কাছে নেতা–কর্মীদের ভিড়, কড়া নিরাপত্তা
যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যাবেন। পথে পথে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে ফিরোজাসংলগ্ন এলাকায় ভিড় করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ফিরোজা ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টার পর থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, ফিরোজার প্রবেশপথ গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের সামনে ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে। সড়কটির দুই পাশেই কড়া নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আছেন। গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছেন না।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের দেশে ফিরে আসা ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যাচ্ছে। তাঁরা দলীয় চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই।
ফিরোজাসংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র রুগ্ণ অবস্থায় রয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসায় গণতন্ত্র আবার পুনরুজ্জীবিত হবে। সে জন্য আমরা উদ্বেলিত।’
এলাকাটিতে অবস্থান করা জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নীলুফার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া, ম্যাডাম আমাদের মাঝে ফেরত আসছেন। তাঁর এই ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে।’