বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ১৫ জানুয়ারি বাম জোটের বিক্ষোভ

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৫ জানুয়ারি (রোববার) দেশব্যাপী বিক্ষোভ করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কার্যালয়ে এই জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বাম জোট। তারা জানায়, ওই দিন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

এক প্রজ্ঞাপনে আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। নতুন এই দর চলতি জানুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর হবে।

বাম জোটের সভায় এক প্রস্তাবে বলা হয়, সরকার বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি, ভুল নীতি, অপচয়, অদক্ষতা দূর না করে পুনরায় বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এই মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দেবে।

প্রস্তাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানান বাম নেতারা। তাঁরা সভায় দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি দাবিও জানান।

গতকাল বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যাঁরা কুইক রেন্টাল নিয়ে বেশি কথা বলেন, তাঁদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেবেন। বাম জোটের সভায় প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বাম জোট বলছে, সাময়িক বিদ্যুৎ–সংকট নিরসনের কথা বলে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করে বছরের পর বছর বসিয়ে রেখে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত ১০ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা কেন দেওয়া হলো, তার জবাব কি প্রধানমন্ত্রী দেবেন?

বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ; বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুর সাত্তার; বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, জনার্দন দত্ত; বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা; গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম; সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।

বাম জোটের প্রস্তাবে আরও বলা হয়, রিজার্ভ–সংকটে আমদানি বাণিজ্যের এলসি খোলা যাচ্ছে না। ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনজীবন পর্যুদস্ত, ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ ৩০ হাজার কোটি টাকা ভুয়া নামে তুলে নিয়েছে। এগুলো কি সরকারের প্রশ্রয় ছাড়া হতে পারে?