‘মব সন্ত্রাস’ বন্ধে ব্যর্থতা ও নীরবতায় উদ্বেগ

বিবৃতিপ্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে সাবেক সংসদ সদস্য ও হা–মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের বাড়িতে হামলা, চট্টগ্রামের পটিয়া ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় রাজনৈতিক পরিচয়ে হামলা এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চ।

শুক্রবার রাতে পৃথক বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা ‘মব সন্ত্রাস’ বন্ধে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা ও নীরবতার কঠোর সমালোচনা করেন।

জোটের নেতারা বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরে মাজার ভাঙা, বাউল আখড়া, ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর হামলা, আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন, নারীদের পোশাক নিয়ে মোরাল পুলিশিং ও সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, ভাস্কর্য, ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে, যা খুবই উৎকণ্ঠার বিষয়।’

জোটের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন। তাঁদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের প্রেস সচিব যেভাবে ‘মব’কে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং তথ্য উপদেষ্টা কর্তৃক মবকে গণ আদালত, গণজাগরণ মঞ্চসহ অন্যান্য গণ আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করেছেন, এতে করে জনমনে প্রশ্ন হতে পারে যে তাহলে সরকার কি মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে?’

পৃথক বিবৃতিতে চট্টগ্রামের পটিয়া ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় রাজনৈতিক পরিচয়ে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ‘দলীয় রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে “মব” সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। যেভাবে এ কে আজাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে একইভাবে বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হতো। চব্বিশের অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের চরিত্র কারও কাছে প্রত্যাশা করি না।’

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, সরকারকে অবিলম্বে মব সন্ত্রাস দমনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এই দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।